ডিটেকটিভ বিজয় — দিয়া রহস্য

👤.👽.প্রথম পর্ব.👽.👤

মুম্বইয়ের ইন্দিরানগর ক্রাইম ব্রাঞ্চ, ২০১৫ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর, সকাল দশটা বাজে৷ অফিসার রাজীব দীক্ষিতের কেবিনে হাবিলদার মোহন সিং হাতে একটা ছবির সাথে এসে হাজির৷
—"স্যার, কলকাতা পুলিশের হেড অফিস লালবাজার থেকে একটা মিসিং ডায়রির ফ্যাক্স এসেছে৷ একজন লোক তার মেয়ের নিখোঁজ হবার ডায়রি করে দুদিন আগে৷ কলকাতা পুলিশের অনুমান সে মুম্বইতে আছে৷"
—"কই, ছবি আর ফ্যাক্স টা দিয়ে যাও৷"

দিয়া, বাড়ির একমাত্র এবং বড় মেয়ে, ছোট ভাই বিজয় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে হলদিয়া গেছে৷ মা ক্যানসারে মারা গেছেন দু বছর আগেই৷ বাবা সুজিত সরকার পাঁচ বছর আগেই অবসর নিয়েছেন৷ কাজ করতেন এক বেসরকারী সংস্থায়৷ অবসরের সময় এককালীন পাওয়া টাকার বেশিরভাগই খরচা হয়ে যায় দিয়ার মায়ের ক্যানসারের পেছনে৷ তবুও বাঁচান যায়নি৷ মা মারা যাবার পর টাকার অভাবে তার গ্র্যাজুয়েশনের খরচ আর সংসারের হাল ধরার জন্য একটা কিছু উপার্জন করা খুব প্রয়োজন হয়ে পড়ে৷ গানের গলা ভাল থাকায় কাজ খুঁজতে খুব একটা কাঠখড় পোড়াতে হয়নি৷ একটা বারে গাওয়ার সুযোগ আসে৷ দিনে পাঁচশ টাকা বেতন, ছয় ঘন্টা কাজ৷ সন্ধে সাতটা থেকে রাত্রি একটা৷ হোটেলের গাড়ি আবার পৌছে দিয়ে যায় বাড়িতে৷ এভাবেই চলে দু-বছর৷
দেখতে অসম্ভব সুন্দরী হওয়ায় প্রচুর প্রস্তাবও আসে৷ না, বিয়ে বা প্রেমের নয়, বেশিরভাগই ছিল একটা রাত্রের প্রস্তাব৷ কটা বেশি টাকার লোভে চরিত্রকে বিকিয়ে দিতে চায়নি দিয়া৷ হঠাৎ একদিন তার বাবার সাথে গল্প করতে করতে বলে...
—"বাবা জানো, কদিন আগেই হোটেলে নামকরা চিত্রকার প্রতাপ গুহর সাথে পরিচয় হল৷ উনি বলেছেন মুম্বইয়ে খুব ভাল সুযোগ পাওয়া যাবে৷ যোগাযোগ আছে ওনার৷ ভাই তো কদিন পরেই হস্টেল থেকে চলে আসবে৷ তাই ভাবছিলাম যদি তুমি অনুমতি দাও".....
—"আমি আর কি বলব? তোর ওপর আমার বিশ্বাস আছে৷ তবে সবদিক দেখে-শুনে, ভেবে তারপর সিদ্ধান্ত নিস৷ খোকা তো চলেই আসছে বাড়িতে, আমাদের অসুবিধে হবেনা৷"

দিয়ার ভাই বিজয় তার ইঞ্জিনিয়ারিং এর পড়া শেষ করে বাড়ি ফিরছে কদিন পরেই৷ এবার আর কোন অসুবিধে নেই৷ ভাইটা চাকরির জন্য চেষ্টা করুক না, ততদিন দিয়া মুম্বই থেকে টাকা পাঠিয়ে যাবে বাড়িতে৷

প্রতাপ বাবুর খুব পরিচিত এক হোটেলের মালিক মিঃ অগরওয়ালের সাথে পাকা কথা হয়ে গেছে দিয়ার৷ মাস গেলে তিরিশ হাজার মাইনে৷

৩০শে জুলাই, রাত্রি ৮টা বাজে ঘড়িতে৷ বাড়ির সামনে একটা ট্যাক্সি এসে দাঁড়াল৷ সুজিত বাবু বারান্দায় পায়চারি করছিলেন৷
— "কি রে? দিয়া! এখন ফিরলি যে? শরীর ঠিক আছে তো?
— হ্যা বাবা, ঠিক আছে৷ ভেতরে চল বলছি সব৷

(বাড়ির ভেতর ঢুকে)
— বাবা, মুম্বই থেকে ফোন এসেছিল৷ কালই যেতে হবে৷ ওদের হোটেলে আগে যে গান করত মেয়েটি, সে হঠাৎ আসা বন্ধ করে দিয়েছে৷ মিঃ অগরওয়াল কালই ফ্লাইট ধরে আসতে বলছেন৷ টিকিট উনি অনলাইনে পাঠিয়ে দেবেন বলেছেন৷
— কিন্তু তোর ভাইয়ের আসতে তো এখনো কদিন দেরি আছে৷ তুই এখনি এভাবে চলে যাবি? ওর সাথে দেখাটা করে যেতিস৷
— দূর্গা পূজোর সময় এক সপ্তাহ ছুটি দেবে বলেছেন মিঃ অগরওয়াল৷ এখন ওদের ব্যবসার খুব ক্ষতি হচ্ছে কি না তাই যেতে বলছেন৷
— তা বলে এভাবে? একদিন আগে ফোন করে... আমার কেমন যন ঠিক লাগছে না মা৷ তুই আরও একটু ভেবে দেখ৷
— কোন অসুবিধে হবেনা বাবা৷ আমি প্রতাপ বাবুর সাথেও কথা বলেছি৷ উনিও আশ্বাস দিয়েছেন৷

এভাবেই বেশ কিছু কথার পর শেষে রাজি হয়ে যান৷
৩১শে জুলাই সকাল ৭টায় ফ্লাইট৷ এয়ারপোর্টে ছাড়তে আসেন সুজিত বাবু৷ 
—পৌছে ফোন করিস৷ 
— হ্যা বাবা করব৷ প্রতিদিন সকালে উঠে, কাজে যাবার আগে আর ফেরার পর তোমাকে ফোন করব৷ ভাইকে ফোন করে বললাম সব৷ ও কাল দুপুরেই ফিরে আসছে কলকাতা৷

ফ্লাইটের খবর হয়ে গেছে৷ একটা প্রনাম করেই ভেতরে ঢুকে যায় দিয়া৷ কাঁচের বাইরে থেকে দিয়াকে হাত নাড়েন সুজিত বাবু৷ একফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ে চোখ থেকে৷

ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে বাড়িতে বসে তিনটে কাজ বিজয়ের৷ রান্না করা, অনলাইনে চাকরির খোঁজ, আর রহস্য গল্প পড়া৷ সে এক ডিটেকটিভ গল্পের পোকা৷ তারই মত আর এক পোকা রয়েছে সেই  পাড়াতেই৷ তিন্নি, বিজয়ের পাড়াতুতো বোন৷ সদ্য গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছে৷ বিজয়ের আর একটা অভ্যেস ব্লগ লেখা৷

এভাবেই চলতে থাকে, দিন পেরিয়ে মাস৷
৮ই সেপ্টেম্বর সকাল থেকে কোন ফোন আসেনি দিয়ার৷ দুপুরে খেতে বসার সময় সুজিত বাবু জিজ্ঞাসা করে...
— হ্যা রে বিজয়, তোর দিদির ফোন এসেছিল?
— কই না তো৷
— দেখ না, সকাল থেকে মেয়েটার কোন খবর নেই৷ কাল বলেছিল একবার প্রতাপ বাবুর সাথে দেখা করতে যাবে৷ কই ফিরেও একটা ফোন করেনি৷
— দাঁড়াও, আমি একটা ফোন করে দেখি৷
(ফোনের রিং বেজে যায়.. )
— না বাবা ধরল না ফোনটা৷
— তাহলে হয়তো ঘুমোচ্ছে৷ বলেছিল আজ নাকি ছুটি আছে৷ বিকেলে করিস একবার৷
— আচ্ছা৷

আগাথা ক্রিস্টির একটা বই পড়তে নিয়েছিল বিজয় তিন্নির কাছ থেকে৷ দুপুরে শেষ করে পাড়ার বাচ্চাদের মাঠের সামনে দেখা করে ফেরত দিতে যায়৷ 
— (তিন্নি আসেনি এখনো, একবার দিদিকে ফোনটা করে নিই এখনি৷)
(ফোন বেজে যায়...)

ততক্ষণে তিন্নি চলে আসে৷
— কি গো বিজয় দা, কাকে ফোন করছ?
(ঘুরে দেখে তিন্নি )
— দেখ না দিদিটা কাল থেকে ফোন করেনি৷ এখনও ফোন করলাম, ধরল না৷
— দিয়া দি যেখানে থাকে তার মালিকের কোন নাম্বার নেই?
— বাবার কাছে আছে হয়ত৷ যাই একবার পি.জি র মালিকের নাম্বারটা নিয়ে কথা বলি৷ আসছি রে৷

বাড়ি ঢুকতেই সুজিত বাবু....
— কি রে, ফোন তো এখনো ধরছে না৷ কি হল বলতো? আমার খুব চিন্তা হচ্ছে৷
— আমাকে পি.জি র মালিকের আর প্রতাপ গুহ দুটো নাম্বারই দাও তো৷
— এই নে... ( মোবাইল টা বাড়িয়ে দিয়ে..)

নম্বর টা নোট করেই ফোন...
—  হ্যালো, আমি দিয়া সরকারের ভাই বিজয় বলছি৷ মাফ করবেন, দিদির ফোনে লাগছে না তাই আপনাকে ফোন করলাম৷ দিদি কি ওখানে আছে?

ওপাশের কথা শুনে হঠাৎ মুখটা শুকিয়ে গেল বিজয়ের৷ কপালের ভাঁজে আশঙ্কার ছাপ দেখা গেল৷ সুজিত বাবু জিজ্ঞেস করল...
— কি রে, কি বলল?
— বলল দিদি কাল থেকে পিজিতে আসেনি৷ আমি প্রতাপ গুহর নাম্বারে একটা কল করি৷
( ফোন বেজে গেল কেউ রিসিভ করেনি.... আবার একবার ফোন....)
—হ্যালো, আমি কলকাতা থেকে বলছি দিয়া সরকারের ভাই৷ দিদির ফোনে লাগছে না, আপনি যদি কোন খবর দিতে পারেন৷ (গলায় একটু ভয়ের আভাস) আসলে কাল থেকে দিদির সাথে কথা হয়নি৷ কোন খবরও পাচ্ছিনা৷ প্লিজ যদি একটু হেল্প করেন....

কথা শেষে ফোন রেখে জীর্ণ সোফাটায় বসে পড়ল বিজয়....

          (দ্বিতীয় পর্ব)

👽👽👽👽👽👽👽👽👽

৯ই সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা৷ গড়িয়া পঞ্চসায়র থানা৷ সুজিত বাবু ছেলে বিজয়কে সঙ্গে নিয়ে, বড়বাবু সঞ্জয় বাগদির অপেক্ষায় বেঞ্চে প্রায় দু ঘন্টা বসে৷ ঠিক সকাল ১০টা ৫, বড়বাবু রোদ্দুর মাথায় একটু বিরক্তির সাথে অফিসে ঢুকলেন৷ হাবিলদার মদন রায় চাপা গলায় বললেন...

— এই যে, কী যেন নাম আপনার?

— সুজিত সরকার৷ ( ভয়ে ভয়ে)

— বড়বাবু এসেছেন৷ দাঁড়ান বলে দেখি কি বলে৷

— আচ্ছা৷ ( বলে ঘাড় নাড়লেন )


মিনিট দশেক পর মদন বাবুর গলা...

— এই যে, এদিকে আসুন৷ বড়বাবু ডাকছেন৷

সসব্যস্ত হয়ে উঠে সুজিত বাবু এগিয়ে গেলেন দরজার কাছে৷ পেছনে বিজয়৷


— ভেতরে আসুন৷ ( বড়বাবুর গলা ).. বসুন... বলুন কি ব্যাপার?

— স্যার, আমার মেয়ে দিয়ার পরশু রাত থেকে কোন খবর নেই৷ মুম্বই গেছে৷ ওখানে পিজিতে থাকে৷ পিজির মালিককে ফোন করলাম, বলল গত দুদিন সেখানে আসেনি৷ খুব দুশ্চিন্তায় আছি তাই...

— তাই চলে এলেন পুলিশের কাছে৷ দেখুন কারো সাথে কোথাও পড়ে আছে কি না৷ কদিন অপেক্ষা করুন, ঠিক ফোন করবে৷ আজকালকার বাইরে থাকা ছেলে মেয়েরা সব এরকমই৷ বাইরে গিয়ে লেজ গজিয়ে যায়৷


বিজয়ের কপালের ভাঁজে রাগের ছায়া স্পষ্ট৷ 

সুজিত বাবু ভয় মিশ্রিত গলায়...

— না স্যার, ও ওরকম নয়৷ প্রতিদিন নিয়ম করে ফোন করে বাড়িতে৷

— ও সবাই তাই বলে৷ আচ্ছা একটা মিসিং ডায়রি লিখে যান, মুম্বইয়ের সব ঠিকানা সমেত৷ দেখছি কী করা যায়৷

— আচ্ছা৷


দুপুর ১২টা বাজে৷ পুলিশ স্টেশন থেকে বাড়ি ফিরে রান্না চাপাল বিজয়৷ সুজিত বাবু তখনো সোফায় বসে৷

—বাবা, তুমি স্নান করে নাও আগে৷ অত চিন্তা কর না৷ পুলিশে তো খবর দেওয়া হয়েছে৷ আজ সন্ধেবেলা একবার ফোন করব হোটেলে৷

বাবাকে বারণ করলেও মনে মনে এ ঘটনার সম্ভাব্য  হাজার কারণ আর সমাধানের চিন্তা করে চলেছে বিজয়৷

সন্ধেবেলা হোটেল থেকেও কোন খবর পেলনা৷ পায়চারি করতে করতে ফোন করল তিন্নিকে৷

— তিন্নি, মুম্বইতে তোর কোন এক মাসি থাকে না?

— হ্যা, কেন বলতো?

—কাল সকাল সাড়ে ৯টায় দেখা কর, লাইব্রেরিতে৷ কথা আছে৷

পাড়ার লাইব্রেরির ঘড়ির কাঁটায় পৌনে দশটা৷ ম্যাগাজিনটা খুলে বার বার সামনের দেয়াল ঘড়িতে দেখছে বিজয়৷ তড়িঘড়ি করে ঢুকল তিন্নি...

— সরি বিজয় দা, একটু লেট হয়ে গেল৷ বল কি ব্যাপার৷

— চল আগে ওই কোনার বেঞ্চে বসি৷ ... আচ্ছা শোন, আমি ভাবছি মুম্বই যাব৷ পুলিশের যা ভাব গতিক দেখলাম, আমার ঠিক ভাল লাগছে না৷ কেমন যেন দায়সারা কথাবার্তা৷ তাই ভাবলাম আমি যদি মুম্বই গিয়ে দিদির খোঁজ করি৷ ঠিকানা তো সবই আছে বাবার কাছে৷ তাই বলছিলাম ওখানে কদিন থাকার জন্য যদি একটা ব্যবস্থা হয়...

একনাগাড়ে কথাগুলো বলে একটু থেমে তিন্নির মুখের ভাবে কিছু বোঝার চেষ্টা করল৷ বেশ স্বাভাবিক ভাবেই তিন্নি বলল...

— হ্যা, ওখানে থাকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে৷ আমি ঠিক আঁচ করেছিলাম এরকমই কিছু একটা ব্যপার, তাই মাসিকে সকালেই ফোন করেছিলাম৷ বললাম আমি মুম্বই যাব কয়েকদিনের জন্য৷ কতদিন বাড়ি থেকে কোথাও বেরোন হয়নি৷ 

— সে ত তুই যাবি বলেছিস, আমার ব্যপারে তো বলিসনি৷

— ও আমি বলে ম্যানেজ করে নেব, চাপ নিওনা৷

— আচ্ছা, তাহলে কালকের ট্রেনে গেলেই হয়, শুভস্য শীঘ্রম৷

— আমি মা কে বলে দুপুরে জানাচ্ছি৷ তেমনি হলে অনলাইনে তৎকাল টিকিট বুক করে নিও৷

— ঠিক আছে৷ তাড়াতাড়ি জানা৷ আমিও বাবাকে বলে রাজি করছি৷

(লাইব্রেরি থেকে উঠে পড়ে দুজনেই)

১০ই সেপ্টেম্বর দুপুর ২টো হাওড়া স্টেশনে হাজির সুজিত বাবু, বিজয়, তিন্নির বাবা আর তিন্নি৷ ট্রেন ২টো চল্লিশে, ঠিক সময়েই ছাড়ল৷

ট্রেন চলছে, শুরু হল দুজনের গল্প৷ বেশ কিছুক্ষণ পর একটু বোরিং লাগছে বলে অনলাইনে ইউটিউব খুলে দেখতে দেখতে হঠাৎ তিন্নি কিছু একটা দেখে চমকে ওঠে৷ জানালার ধারে বিজয়ের চোখটা একটু লেগে এসেছে৷ তিন্নি ডেকে বলে...

— বিজয় দা, ও বিজয় দা... ওই লোকটার নাম প্রতাপ গুহ না? যার ভরসায় দিয়া দি মুম্বই গিয়েছিল৷

— হ্যা, কেন বলতো?

— আমি ইউটিউব দেখতে দেখতে ওনার একটা ইন্টারভিউ  পেলাম৷ রিপোর্টারের একটা প্রশ্ন শুনে আমার কেমন খটকা লাগছে৷ এই দেখ..

(বলে ফোনটা বাড়িয়ে দিল দিয়া)

ভিডিও টা দেখেই কান থেকে ইয়ারফোন টা খুলে তিন্নি কে দিয়ে...

— (একটু রেগে) না, ও সব ফালতু খবর৷ দিদি এরকম কখনোই নয়৷ ফালতু খবর যত সব...

— হতে পারে, কিন্তু একবার ভাব যদি সত্যি হয় তবে এই লোকটার সাথে দিয়া দি র বেশ ভালই যোগাযোগ আছে৷ তা হলে এর কাছে তো কিছু খবর নিশ্চই পাওয়া যাবে৷

— প্রতাপ গুহ কে ফোন করেছিলাম৷ কথা এমন বলল যেন দিদির সাথে খুব একটা যোগাযোগ নেই৷

— আমার কিন্তু একটু সন্দেহ হচ্ছে বিজয় দা৷

— হুম, কোথাও একটু সুর কাটছে মনে হচ্ছে৷ যদি এতই কাছের সম্পর্ক হয় তবে ওনার জানার কথা দিদির ব্যপারে৷ আবার একটা জিনিস খটকা লাগছে..

— কি?

— এই ক মাসেই এরকম সম্পর্ক যে মিড়িয়ায় চলে এল!!

                                           #ক্রমশ...

                    ✍ প্রভাত ঘোষ..🌠

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

꧁ জীবনপিপাসু ꧂