সংগ্রামী

ইতিহাস আজ পরিবর্তিত না হলে সংগ্রামীদের তালিকার খাতার প্রথমদিকে কিছু নাম উঠে আসত ঠিকই৷ আজ জেনে নেওয়া যাক এরকমই এক মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীর আত্মত্যাগের কথা৷
#বটুকেশ্বর_দত্ত :
             পূর্ব বর্ধমান জেলার "ওয়ারি" গ্রামে জন্ম ১৯১০ সালের ১৮ই নভেম্বর৷ কলেজে পড়ার সাথে সাথেই বৃটিশদের শৃঙ্খল থেকে দেশকে মুক্ত করার প্রতিজ্ঞা দৃঢ় হয়ে বাসা বাঁধে ওই ছোট্ট হৃদয়ে৷ ভারতের স্বাধীনতার উদ্দেশ্যে যোগ দেন উত্তরপ্রদেশের কানপুরের Hindustan Socialist Republican Associatio এ৷ প্রথম বোমা তৈরির হাতেখড়ি শুরু হয় সেখানেই৷ ধীরে ধীরে চন্দ্রশেখর আজাদ এবং ভগৎ সিং এর সাথে পরিচয়৷
এই প্রসঙ্গে আরও একজনের নাম উল্লেখ করতেই হয়, স্বামী কুমারানন্দ৷ ইনি বহুবার বটুকেশ্বর দত্তকে আশ্রয় দিয়ে বৃটিশ পুলিশের হাত থেকে রক্ষা করেন৷
১৯২৯ সালে ভগৎ সিং এর সাথে দিল্লির Central Legislative Assembly তে বোমা ফেলার মত দুঃসাহসিক কাজ করেন বটুকেশ্বর তাঁর ১৯ বছর বয়সেই৷ ধরা পড়েন তিনি এবং ভগৎ সিং৷ আন্দামানের সেলুলার জেলে বন্দী করা হয়, যাকে বলা হত "কালা পানির সাজা"৷ একবিন্দু আলোও প্রবেশের জন্য বৃটিশ পুলিশের নির্দেশের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকত সেখানে৷ সকল বন্দীদের সঙ্গে নিয়ে জেলের মধ্যেই শুরু হয় অনশন, বন্দীদের ওপর পুলিশের অমানবিক অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে৷ শেষে জেল থেকে দেওয়া হয় মুক্তি৷ এর পর তিনি অংশগ্রহন করেন ভারত ছাড়ো আন্দোলনেও৷
১৯৬৫ সালে টিউবারকিউলোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে AIIMS হাসপাতালে মৃত্যু হয়৷
এরকম একজন স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাম ভারত রত্ন প্রাপকদের মধ্যে না থাকলেও তিনি সর্বদাই ভারতের মানুষের হৃদয়ে থাকবেন সেটা বলাই বাহুল্য৷
এবার আসি আমার কথায়৷ অনেকেই নেহেরু, জিন্না এবং এডউইনা মাউন্টব্যাটেনের ( লর্ড মাউন্টব্যাটেনের স্ত্রী) মদিরা পান এবং উচ্ছৃঙ্খল জীবনের কথা নিশ্চই শুনে থাকবেন, যারা নিজেদের স্বার্থে করেছেন রাজনীতি৷ যে মানুষটি দেশের জন্য অনশন, পুলিশের লাঠি, অন্ধকার কারাগারে অকথ্য অত্যাচার সহ্য করে স্বাধীনতার বীজ থেকে গাছ হয়ে ফলে ফুলে বাড়িয়ে তুললেন তাঁদের আজও ভারতরত্নের তালিকায় স্থান দেওয়া হয়নি, কিন্তু পেয়েছেন চাচা নেহেরু৷ এ বিষয়ে বিবেচনার দায়ীত্ব তুলে দিলাম একশ ত্রিশ কোটি ভারতবাসীর ওপর৷
                              জয় হিন্দ
                       ✍ প্রভাত ঘোষ...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

꧁ জীবনপিপাসু ꧂